গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি-অনিদ্রা-বিরক্ত

Health | 472 | Post by : manush | Date: 04-07-24
গর্ভাবস্থায় হরমোনের অনেক পরিবর্তন হয়। শারীরিক সমস্যাগুলি মানসিক অবস্থার উপরও প্রভাব ফেলে। যার ফলে মেজাজ পরিবর্তন, অনিদ্রা, ক্লান্তি, বিরক্তির মতো সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় শরীর ও মন- দুই-ই সুস্থ ও ভাল রাখা জরুরি। কিছু টিপস মাথায় রাখলে সহজেই এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। অধিকাংশ মহিলারই স্বপ্ন থাকে মা হওয়ার। তবে গর্ভাবস্থায় অনেক রকম শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শারীরিক সমস্যাগুলি মানসিক অবস্থার উপরও প্রভাব ফেলে গর্ভাবস্থায় হরমোনের অনেক পরিবর্তন হয়। যার ফলে মেজাজ পরিবর্তন, অনিদ্রা, ক্লান্তি, বিরক্তির মতো সমস্যা হতে পারে। তবে কিছু টিপস মাথায় রাখলে সহজেই এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব গর্ভাবস্থায় শরীর ও মন- দুই-ই সুস্থ ও ভাল রাখা জরুরি। শারীরিক বা পারিপার্শ্বিক সমস্যা যাতে মনের উপর প্রভাব না ফেলে এবং মন যাতে ভাল থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই গর্ভাবস্থায় মন ভাল রাখতে এই টিপসগুলি মেনে চলুন গর্ভাবস্থায় মানসিক অবস্থা অনেকাংশে শরীরের উপর নির্ভর করে। গর্ভাবস্থায় পায়ে ব্যথা, পেটের ভিতর অস্বস্তিবোধ, ক্লান্তি স্বাভাবিক ঘটনা। এগুলি এড়াতে শরীর হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। এর জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডাবের জল, আখের রস, লেবুর রস এবং রসাল ফল ডায়েটে রাখতে পারেন ক্লান্তি কাটাতে অনেকেই ঘন-ঘন চা বা কফি খান। কিন্তু, গর্ভাবস্থায় এটা করা উচিত নয়। চা বা কফি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। যার ফলে ক্লান্তি, অনিদ্রা, পেশিতে টান ধরার সমস্যা হতে পারে। চা, কফির বদলে ফলের রস খান গর্ভাবস্থার শেষের দিকে বেশিরভাগ মহিলার অনিদ্রার সমস্যা হয়। এই সমস্যা দূর করতে নরম বালিশ মাথায় দিন। শোয়ার সময় পায়ে তেল মালিশ করলেও অনেকটা আরাম পাবেন। এছাড়া ঘুমানোর আগে বেশি রাত পর্যন্ত মোবাইল বা টিভি দেখা বন্ধ করুন গর্ভাবস্থায় শরীর ও মন ভাল রাখতে এবং ভালভাবে প্রসবের জন্য নিজেদের সক্রিয় রাখা জরুরি। সবসময় শুয়ে-বসে না থেকে প্রতিদিনের রুটিনের হালকা কাজ করুন। অবশ্যই সকালে হালকা যোগাসন, প্রাণায়াম করুন। তাহলে শরীর থেকে মেজাজ ভাল থাকবে গর্ভবতী মহিলাদের ডায়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গর্ভাবস্থায় অনেক কিছু খেতে ভাল লাগে না। কিন্তু, ঠিকমতো খাবার না খেলে আপনার পাশাপাশি গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব পড়বে। তাই অল্প পরিমাণে হলেও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খান। তেল-মশলা, নুন, চিনি জাতীয় খাবার কম খান। তাহলে শরীরের সঙ্গে মেজাজও ভাল থাকবে